Scan barcode
__offsetpaper__'s review against another edition
5.0
আমি শয়নগৃহে, চারপায়ীর উপর বসিয়া, হুঁকা হাতে ঝিমাইতেছিলাম। একটু মিট মিট করিয়া ক্ষুদ্র আলো জ্বলিতেছে—দেয়ালের উপর চঞ্চল ছায়া, প্রেতবৎ নাচিতেছে। আহার প্রস্তুত হয় নাই—এজন্য হুঁকা হাতে, নিমীলিতলোচনে আমি ভাবিতেছিলাম যে, আমি যদি নেপোলিয়ন হইতাম, তবে ওয়াটালু জিতিতে পারিতাম কি না। এমত সময়ে একটি ক্ষুদ্র শব্দ হইল, “মেও!”-⠀
⠀
এভাবেই শুরু হয় 'কমলাকান্তের দপ্তর' বইটির ত্রয়োদশ সংখ্যা 'বিড়াল', যা আমার উচ্চমাধ্যমিক বাংলা বইয়ে অন্তর্ভূক্ত। এই প্রবন্ধটা পড়ে বেশ ভালোই লেগেছিল, যার কারণে বইটা কিনে ফেলা। তাছাড়া আফিমখোর কমলাকান্তের জন্য একটু মায়াও লাগছিল।⠀
⠀
আফিমের নেশায় থাকলে কী হবে, কমলাকান্ত কিন্তু সব সত্যিই বলতো। এই আফিমখোর কমলাকান্তকে দিয়ে লেখক সমাজের প্রচলিত অনেক অসঙ্গতি, কুপ্রথার সাহিত্যরসের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রসাত্মক ও ব্যঙ্গধর্মী রচনার সংকলন ‘কমলাকান্তের দপ্তর’। ব্রিটিশ সরকারের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টার পদে চাকরির কারণে সরাসরি কিছু বলতে পারেননি তিনি। কিন্তু ব্রিটিশদের শাসন শোষণের বিরুদ্ধে মনের অব্যক্ত কথা তিনি প্রকাশ করেছেন তাঁর রচনায়। আমাদের কমলাকান্তের কিন্তু খুব বিদ্যে। একসময় সে কেরানিগিরিও করতো, কিন্তু আপিসের কাজ মেটানোর বদলে সে বসে বসে সেক্সপিয়র সাহেবের লেখা গিলতো দেখে চাকরিটা তার আর করা হয়নি। এ কারণে অবশ্য অনেকে তাকে পাগল বলে। আনমনে নিজের সাথে কথা বলে, অন্যের সাথে হেঁয়ালি করে, লেখাপড়া জানা মানুষ- এত বিদ্যা থাকতে ও তার চাকরী নেই। কমলাকান্তের জবানবন্দীতে একটি এবং পরিশিষ্টে একটি সর্বমোট বিশটি বিভিন্ন বৈচিত্রের প্রবন্ধ রয়েছে। বঙ্কিমচন্দ্র কমলাকান্ত নামক এই আফিমখোরের চরিত্র দিয়ে তুলে এনেছেন সমাজের সমস্যা, অন্ধবিশ্বাস, মানবিক মূল্যবোধ, সামাজিক উন্নয়ন ও সেই সময়কার চিন্তাধারা, যেগুলো তিনি ব্যাঙ্গাত্মক ভাবে উপস্থাপন করেছেন। বইয়ের শব্দগুলো অবশ্য একটু কঠিন, পড়তে যেয়ে আপনার দাঁতও ভেঙ্গে যেতে পারে।⠀
⠀
এভাবেই শুরু হয় 'কমলাকান্তের দপ্তর' বইটির ত্রয়োদশ সংখ্যা 'বিড়াল', যা আমার উচ্চমাধ্যমিক বাংলা বইয়ে অন্তর্ভূক্ত। এই প্রবন্ধটা পড়ে বেশ ভালোই লেগেছিল, যার কারণে বইটা কিনে ফেলা। তাছাড়া আফিমখোর কমলাকান্তের জন্য একটু মায়াও লাগছিল।⠀
⠀
আফিমের নেশায় থাকলে কী হবে, কমলাকান্ত কিন্তু সব সত্যিই বলতো। এই আফিমখোর কমলাকান্তকে দিয়ে লেখক সমাজের প্রচলিত অনেক অসঙ্গতি, কুপ্রথার সাহিত্যরসের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রসাত্মক ও ব্যঙ্গধর্মী রচনার সংকলন ‘কমলাকান্তের দপ্তর’। ব্রিটিশ সরকারের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টার পদে চাকরির কারণে সরাসরি কিছু বলতে পারেননি তিনি। কিন্তু ব্রিটিশদের শাসন শোষণের বিরুদ্ধে মনের অব্যক্ত কথা তিনি প্রকাশ করেছেন তাঁর রচনায়। আমাদের কমলাকান্তের কিন্তু খুব বিদ্যে। একসময় সে কেরানিগিরিও করতো, কিন্তু আপিসের কাজ মেটানোর বদলে সে বসে বসে সেক্সপিয়র সাহেবের লেখা গিলতো দেখে চাকরিটা তার আর করা হয়নি। এ কারণে অবশ্য অনেকে তাকে পাগল বলে। আনমনে নিজের সাথে কথা বলে, অন্যের সাথে হেঁয়ালি করে, লেখাপড়া জানা মানুষ- এত বিদ্যা থাকতে ও তার চাকরী নেই। কমলাকান্তের জবানবন্দীতে একটি এবং পরিশিষ্টে একটি সর্বমোট বিশটি বিভিন্ন বৈচিত্রের প্রবন্ধ রয়েছে। বঙ্কিমচন্দ্র কমলাকান্ত নামক এই আফিমখোরের চরিত্র দিয়ে তুলে এনেছেন সমাজের সমস্যা, অন্ধবিশ্বাস, মানবিক মূল্যবোধ, সামাজিক উন্নয়ন ও সেই সময়কার চিন্তাধারা, যেগুলো তিনি ব্যাঙ্গাত্মক ভাবে উপস্থাপন করেছেন। বইয়ের শব্দগুলো অবশ্য একটু কঠিন, পড়তে যেয়ে আপনার দাঁতও ভেঙ্গে যেতে পারে।⠀
More...